মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১৫ টি উপায়


মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় সম্পর্কে জানেন কি? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে মেয়েরা ঘরে বসে রোজগার করতে পারবে এবং হাতের কাজ করে আনলিমিটেড ইনকাম করার উপায়।
মেয়েদের-ঘরে-বসে-রোজগারের-সেরা-১৫টি-উপায়.webp
সাধারণত মেয়েরা ঘরের কাজ শেষ করার পরে তাদের হাতে অনেক সময় থেকে যায়। বর্তমানে যেহেতু অনালাইনের যুগ তাই অবসর সময়টাকে কাজে লাগিয়ে মেয়েরা ঘরে বসে অনলাইনে রোজগার করতে পারেন। আজকের আর্টিকেলে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা উপায় গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করার সুবিধা

সাধারণত মেয়েদেরকে সংসারের বিভিন্ন কাজ করতে হয়। বিশেষ করে রান্না করা, ঘর বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, শশুর শাশুড়ির দেখাশোনা করা, ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের দেখাশোনার পাশিপাশি স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসা সহ আরো অনেক কাজ থাকে। এই কাজ গুলো করার পাশাপাশি মেয়েদের বাইরে গিয়ে কোন অফিস বা ব্যবসা করা সম্ভব হয়ে উঠেনা।

কিন্তু বাড়ির সমস্ত কাজ শেষ করার পরে মেয়েদের হাতে অনেক অবসর সময় থাকে। এই অবসর সময় টাকাকে কাজে লাগিয়ে মেয়েরা ঘরে বসেও টাকা আয় করতে পারে। বর্তমান অনলাইনে এমন অনেক কাজ রয়েছে যে কাজ গুলো বাড়ির কাজের পাশাপাশি ঘরে বসেই করা যায়। এবং আপনার ইচ্ছা মত সময় বের করে সে কাজ গুলো করতে পারবেন।

 আপনাকে দূরে কোন অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে না। আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনে আপনার দক্ষতা এবং প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নিজের কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারেন। আপনার হাতের কাজ জানা থাকলে। হাতের কাজ করেও অনলাইনে ভালো পরিসরে টাকা ইনকাম করা যায়। আর এই ইনকামের দ্বারা আপনার পরিবারে সচ্ছলতা আসবে এবং সমাজে নিজের মর্যাদা বাড়বে।

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগার করতে যে জিনিস গুলো প্রয়োজন

মেয়েরা ঘরে বসে অনলাই অফলাইন দুই ভাবেই ইনকাম করতে পারে। অনলাইনে ইনকাম করার জন্য যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন হবে। আপনি যদি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং, আর্টিকেল লেখা, ব্লগিং ইত্যাদি কাজ গুলো করার জন্য আপনার এন্ড্রয়েড ফোন, ল্যাপটপ, অথা কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে।

এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।সে ক্ষেত্রে আপনি ওয়াইফাই ব্যবহার করলে ভালো হবে। আপনি যদি অনলাইনে আর্টিকেল লেখে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার টাইপিং এর ভাল দক্ষতা থাকতে হবে। আর অফলাইনে ইনকাম করার জন্য যে সমস্ত জিনিস প্রয়োজন হবে।

অফলাইনে আপনি বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। যেমন আপনার যদি রান্না করার ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে বিভিন্ন খাবার বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। সেলাই করার অভিজ্ঞতা থাকলে সেলাই করেও ভালো ইনকাম করতে পারেন। এর জন্য আপনার সেলাই মেশিন থাকতে হবে।

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১৫ টি উপায়

বর্তমান যুগে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও শিক্ষাগত যোগ্যতার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনৈতিক অবদানেও মেয়েরা পিছিয়ে নয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও বিভিন্ন ধরনের কাজ বা ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করছে। কিন্তু এমন কিছু ফ্যামেলি রয়েছে যারা মেয়েদের বাড়ির বাইরে গিয়ে চাকরি বা কোন ব্যবসা করা পছন্দ করে না।

এই সমস্ত ফ্যামিলির মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় খুজেন। আসলে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্য থেকে আমি আজকের আর্টিকেলে মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১৫ টি উপায় বিস্তারিত ভাবে নিম্নে আলোচনা করলাম। যে সমস্ত উপায় গুলো ফ্লো করে খুব সহজেই ইনকাম করা যায়।

  • কনটেন্ট রাইটিং।
  • ফেসবুক পেইজ।
  • ইউটিউব চ্যানেল।
  • ব্লগিং
  • ভিডিও এডিটিং।
  • ফ্রিল্যান্সিং।
  • ওয়েবসাইট বিক্রি।
  • ডাটা এন্ট্রি।
  • ড্রপশিপিং।
  • টেলি কলিং।
  • টিউশনি করানো।
  • বিউটিপার্লারের ব্যবসা।
  • বাগান তৈরী।
  • গৃহপালিত পশুপাখি পালন।
  • টিফিন সার্ভিস।

কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম 

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের অন্যতম একটি মাধ্যম হলো কনটেন্ট রাইটিং। যারা কনটেন্ট রাইটিং করে তারা খুব সহজেই ঘরে বসে যেকোন বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লিখে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারে। এন্ড্রয়েড ফোন বর্তমান সবার হাতে দেখা যায়। মানুষের যখন কোন অজানা জিনিসের বিষয়ে জানার প্রয়োজন হয় তখন তারা গুগোলে সার্চ করে। মানুষ গুগোলে সার্চ করার পরে সার্চ ইঞ্জিন যে আর্টিকেল গুলো দেয় সেগুলো কনটেন্ট রাইটাররা লিখে রাখে।

বর্তমানে বাংলাদেশে এমন অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা ব্লগার রয়েছেন যারা তাদের ওয়েবসাইটের কনটেন্ট লেখার জন্য। কনটেন্ট রাইটার দের চাকুরি দিয়ে থাকেন। তাই কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখে ভালো টাকা আয় করা যায়।আপনার কোন একটা বিষয়ের উপর যদি ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয়ের উপর আপনি ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে মাসে ১০/১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমান ইংরেজি কনটেন্টের চাহিদা অনেক বেশি। আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে আপনি আরো অনেক বেশি পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনি ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ২/৪ মাস ভালো ভাবে প্রাক্টিস করতে হবে। অন্যান্য রাইটারদের কনটেন্ট গুলো ভালো ভাবে পড়ে সেখানে কিভাবে আর্টিকেল গুলো লিখেছে সেই পদ্ধতি গুলো জানতে হবে।

কনটেন্ট লেখার প্রতিটি নিয়ম আপনাকে ভালো ভাবে ফ্লো করে আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনার আর্টিকেল যদ সুন্দর হবে আপনার আর্টিকেলের দাম তত বেশি হবে এবং আপনার আপনার আর্টিকেলের চাহিদা বাড়বে। আপনি যদি মনে করেন যে আমি অন্যের ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখবো না। তাহলে আপনি নিজেই খুব সহজে ব্লগার থেকে আপনার নিজের জন্য একটি ফ্রী ব্লগ তৈরি করে।

অথাবা অল্প টাকা খরচ করে ডোমেইন কিনে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটে আপনার লেখা আর্টিকেল গুলো পাবলিশ করে। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই মেয়েদের জন্য ঘরে বসে রোজগার করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম কনটেন্ট রাইটিং শিখে আর্টিকেল লিখে প্রতিমাসে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে ফেসবুক চালায় না এমন মানুষ নাই বললেই চলে। আর এই ফেসবুকে আমরা ভিডিও দেখে বা বিভিন্ন মানুষের সাথে চেটিং করে অযথা অনেক সময় নষ্ট করি। ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে যদি আমরা সঠিক ভাবে কাজ করি তাহলে কিন্তু ফেসবুক থেকে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বর্তমান সময়ে দেখবেন অনেক মেয়ে ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করে বিশাল একটা কমিউনিটি তৈরি করেছে।

এই ফেসবুক গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনিও চাইলে সুন্দর একটা নাম দিয়ে ফেসবুকে গ্রুপ খুলে আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করে বড় পরিসরে একটা কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে অবশ্যই গ্রুপে প্রচুর পরিমানে সদস্য থাকতে হবে। আপনার গ্রুপে যদি ১৫/২০ হাজার সদস্য এড করতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ভাবে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার গ্রুপে যখন হাজার হাজার সদস্য হয়ে যাবে তখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে পন্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার যখন একটি বড় ধরনের ফেসবুক গ্রুপ থাকবে তখন আপনি যেকোন বড় কোম্পানির প্রডাক্ট কমিশনে বিক্রি করে ভালো মানের আয় করতে পারবেন। তাই মেয়েরা চাইলে এই কাজটি ঘরে বসে কোন রকমের ইনভেস্ট ছাড়ায় শুধু মাত্র ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করা

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল থেকে অর্থ উপার্জন করা অত্যন্ত সহজ একটি পদ্ধতি। এই জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল না থাকলে খুব সহজে শুধু মাত্র আপনার জি-মেইল একাউন্ট দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিতে পারবেন। বর্তমানে সারা বিশ্ব জুরে ভিডিও শেয়ারিং এর জন্য ইউটিউব হলো অন্যতম একটি সাইট।

আমাদের দেশে বর্তমানে হাজারো বেকার ছেলে মেয়ে নিয়মিত তাদের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতেছে। কেন বর্তমানে অনলাইনে খুব দ্রুত ইনকাম করার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্মের নাম ইউটিউব। আপনি সহজে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে ভিডিও তৈরি ইউটিউব এ আপলোড করতে হবে। আপনি চাইলে যেকোন টপিক নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন।

বিশেষ করে মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের রান্নার রেসিপি ভিডিও করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে রান্নার রেসিপি ভিডিও গুলো অনেকের কাছেই জনপ্রিয়। যার কারণ হলো মানুষ ইউটিউব এ ভিডিও দেখে নতুন নতুন মজাদার খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য ইউটিউব এ সার্চ করে।এবং সেই রেসিপি তৈরি করে বাড়িতে সবাই মিলে খেতে পছন্দ করে। আপনি যদি রেসিপি টপিক নিয়ে ভালো মানের ভিডিও তৈরি করেন।

অতপর আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন টপিক নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন যেমন- ফানি ভিডিও, শিক্ষনিয় মূলক ভিডিও, এছাড়াও আপনার আঞ্চলিক ভাষায় ভিডিও বানিয়ে ভালো সারা পেতে পারেন। আপনি যখন নিয়মিত আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করবেন।

তখন মানুষ নিয়মিত আপনার ভিডিও দেখার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবে। এই ভানে যখন আপনার চ্যানেলে ১ হাজার সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে এবং নিয়মিত ভিউ আসা শুরু হবে। তখন আপনি চ্যানেলটি মনিটাইজেশন করিয়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন। আর মেয়েদের জন্য বাড়িতে বসে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা অত্যন্ত সহজ একটি মাধ্যম

ব্লগিং করে ইনকাম করা

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা আরো একটি উপায় হলো ব্লগিং। ব্লগিং এক ধরনের ব্যবসা বলা যেতে পারে, যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই ইনকাম করা যায়। নিজের অবসর সময় টাকাকে কাজে লাগিয়ে ব্লগিং এর মাধ্যমে খুব সহজে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
ব্লগিং-করে-ইনকাম-করা.webp
ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন টপিক নিয়ে আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখে রাখতে পারেন। যেমন টেকনোলজি, স্বাস্থ বিষয়ক তথ্য, ইসলামিক পোস্ট, খেলাধুলা, ফ্যাশন, সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে পারেন। এই ভাবে আর্টিকেল লিখতে লিখতে এক সময় আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভিজিটর বারবে।তখন আপনি গুগল এডসেন্স করে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার ব্লগ সাইটে একবার ইনকাম শুরু হয়ে গেলে আপনার ইনকাম ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকবে। আপনি কাজের ব্যস্ততার কারনে কিছুদিন কাজ না করলেও আপনার ইনকাম হতেই থাকবে। আর আমি মনে করি এই ব্লগিং করে ইনকাম করা মেয়েদের জন্য পারফেক্ট একটা কাজ। মেয়ে চাইলে ঘরে বসে অবসসর সময়ে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার দিয়ে ব্লগ ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ভালো মানের একটা ইনকাম করতে পারবে।

ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম

মেয়েদের জন্য ঘরে বসে ইনকামের আরো একটি সহজ উপায় হল ভিডিও এডিটিং করা। ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করে অনলাইনে মানসম্মত একটা ইনকাম করা সম্ভব। তবে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এ পারদর্শী হতে হবে। আপনি যদি ভালো মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারেন তাহলে তাহলে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিডিও এডিটিং করে দিয়ে আয় করতে পারেন।

প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং যারা করর তাদের কাজের কোন অভাব থাকে না। প্রোফেশনাল ভিডিও এডিটিং করে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ কর‍তে পারবেন। যেমন- ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইবার ডট কপম ইত্যাদি। এই সমস্ত প্লাটফর্ম এ শুরুর দিকে ক্লায়েন্ট পেতে একটু কষ্টসাধ্য। কিন্তু আপনি যখন হাই কোয়ালিটি ভিডিও এডিটিং করতে পারদর্শী হবেন।

তখন আর নতুন নতুন ক্লায়েন্ট এর অভাব হবে না। বর্তমান বিভিন্ন কার্টুন ভিডিও মানুষের কাছে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আপনি যদি উন্নত মানের কার্টুন ভিডিও তৈরি করে ভালো মানের সাউন্ড সিস্টেম সেটাপ দিতে পারেন। তাহলে এই সমস্ত ভিডিও আপনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেও ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আর এই কাজটি মেয়েরা খুব সহজেই বাড়ির কাজের পাশাপাশি অবসর সময়ে করে ইনকাম করতে পারবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ইনকাম করা

বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং সবার কাছেই পরিচিত এবং সবাই এই বিষয়টির প্রতি আগ্রহী। যার কারণ হলো ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়। শুধু ছেলেরাই নয় বরং বর্তমান মেয়েরাও ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের হাজারো যুবক, যুবতী ফ্রিল্যান্সিং করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে।

আপনি যদি আপনার প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন তাহলে আপনিও ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং যতটা সহজ আবার ঠিক ততটাই কঠিন কেননা ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার এর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। শুধু তাই নয় ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে।

কেননা আপনি যখন বিদেশি কোন বায়ারের সাথে কথা বলবেন অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হবে। কারণ বিদেশি বায়ার রা তো আর বাংলা ভাষা বুজতে পারবে না। শুধু ভাষা নয় বরং আপনাকে যে কাজ টা দিবে সেই কাজের পুরোপুরি দক্ষতা আপনার থাকতে হবে।কারন বিদেশি বায়াররা কাজ দেওয়ার আগে আপনাকে তার কাছে কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বুঝাতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে। যেমন ফ্রিল্যান্সার, ফাইভার, আপওয়ার্ক, ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেক গুলো কাজের সেক্টর রয়েছে। আপনি যেকোন একটি কাজের উপর পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন।যেমন-ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

এই কাজ গুলোর মধ্যে আপনি যেকোন একটি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। শুরুর দিকে একটু কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে আপনার কাজের দক্ষতা বাড়লে আপনার কাজের অভাব হবে না। মেয়েরা ঘরে বসে নিজের ইচ্ছা মত সময় বের করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারে। তবে এই কাজ গুলো করার জন্য অবশ্যই আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে।

ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম করা

মেয়েরা ঘরের কাজের পাশাপাশি ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরির জন্য স্বল্প পরিমান ইনভেস্ট করে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পোস্ট করবেন।

৫০/৬০ টি ভালো মানের আর্টিকেল পোস্ট করার পরে আপনাকে গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। প্রতিদিন আপনার সাইটে ৭০/৮০ টা ক্লিক পরলে আপনি সহজেই গুগল এডসেন্স পেয়ে যাবেন। গুগল এডসেন্স পাওয়ার পরে আপনার ওয়েবসাইটটি আপনি ২৫/৩০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

ডাটাএন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করা

মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের উপায় গুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি অনেক সহজ একটি উপায়। ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। শুধু মাত্র মাইক্রোসফট এক্সেল এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এই দুইটি বিষয়ে আপনার পরিপূর্ণ দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনলাইন ডাটা এন্টির কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ডাটা এন্ট্রি একটি উপযুক্ত কাজ হবে। কেননা এই ডাটা এন্ট্রি কাজটি শুধু মাত্র কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান থাকলে করতে পারবে। ডাটা এন্ট্রি কাজ করার জন্য টাইপিংয়ের দক্ষতা বাধ্যতামূলক। টাইপিং এর গতি যত বেশি হবে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে তত বেশি ইনকাম করতে পারবে। মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে এই কাজটি করতে পারবে।

ড্রপশিপিং ব্যবসা করে ইনকাম করা

ড্রপশিপিং এমন একটি অনলাইন ব্যবসা। যে ব্যবসায় কোন ধরনের ইনভেস্ট কর‍তে হয় না। বর্তমানে অনলাইনেই ই-কমার্স সাইট গুলো সম্পর্কে আমাদের সবার জানা। বেশির ভাগ ই-কমার্স সাইট গুলো ড্রপশিপিং সিস্টেমে ব্যবসা চালাচ্ছে। ড্রপশিপিং সিস্টেমে ব্যবসা করার জন্য খুচরা বিক্রেতাকে পন্য স্টক করে রাখার প্রয়োজন হয় না।

যার কারণ হলো পন্য স্টক করে পাইকারী বিক্রেতা বা পন্য উৎপাদনকারী এবং কাস্টমারের কাছে পন্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব হলো পাইকারী বিক্রেতা অথাবা পন্য উৎপাদনকারীর। খুচরা বিক্রেতার কাজ হলো কাস্টমারের কাছে অর্ডার নিয়ে পাইকারী বিক্রেতার কাছে কাস্টমারের ঠিকানা বা তথ্য প্রদান করা।

অর্ডার কনফার্ম করার পরে খুচরা বিক্রেতার পেইজ বা সাইটের নাম এবং লোগো সহ পাইকারী বিক্রেতা বা উৎপাদনকারী কাস্টমারের কাছে পন্য পৌঁছে দেয়। খুচরা বিক্রেতা পাইকারী বিক্রেতার কাছে পন্যের দাম নির্ধারণ করে নিয়ে। অতিরিক্ত যত বেশি দামে পন্য বিক্রি করে সেটা খুচরা বিক্রেতার লাভ হয়। এতে খুচরা বিক্রেতার পেরেশানি কম হয় এবং খুব সহজে লাভবান হয়। তাই যেকোন মেয়ে ঘরে বসে খুব সহজে ড্রপশিপিং ব্যবসা চালু ইনকাম করতে পারে।

টেলি কলিং এর কাজ করে ইনকাম

মেয়েরা ঘরে বসে খুব সহজে টেলি কলিং এর জব করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কোম্পানির সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য টেলি কলিং নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই কাজ টি করার জন্য আপনাকে সুন্দর ভাবে কথা বলার পারদর্শী হতে হবে।

কোম্পানিতে কাজ শুরু করার আগে কোম্পানি আপনাকে যদি সব কিছু ভালো ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে নেয় তাহলে তো আরো অনেক ভালো হবে। এই কাজটি করার জন্য আপনার একটি এন্ড্রয়েড ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি কাজ টি করতে পারবেন। আর এই কাজটি আপনি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন।

টিউশনি করে ইনকাম করা

মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করার আরো একটি মাধ্যম হলো টিউশনি করে টাকা ইনকাম করা। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ অবিভাবক তাদের সন্তান্দের টিউশনি দেওয়ার ক্ষেতে মেয়েদের বেশি প্রাধান্য দেয়। বিশেষ করে হোম টিউটর হিসেবে। আপনি যদি একজন ভালো মেধাবী স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন অথবা কোন সাবজেক্টের উপর পারদর্শী হয়ে থাকেন।

তাহলে আপনি টিউশনি করে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনাকে বাড়ির বাহিরেও যেতে হবে না। আপনি যদি ভালো ভাবে বাচ্চাদের পড়াতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার বাড়ির আশেপাশে যত বাচ্চা পড়াশোনা করে। তাদের অবিভাবকেরা তাদের বাচ্চাকে আপনার কাছে পড়ানোর জন্য দিয়ে যাবে।

আর বর্তমানে একটা বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন। আপনি যদি সার দিনে কাজের ফাকে একটা সময় বের করে নিয়ে ৮/১০ জন বাচ্চাকে পড়াতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে আপনি ৮/১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বিউটি পার্লার দিয়ে ইনকাম করা

বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মেয়ের বিউটি পার্লারে গিয়ে সাজ সজ্জা করা একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। যদিও ঘরে বসে রুপচর্চা করা যায়। কিন্তু বিউটি পার্লার গুলো রুপচর্চায় নিয়ে এসেছে নতুন নতুন কিছু চমক যে প্রায় সব মেয়ের মন কেড়ে নিয়েছে। বেশির ভাগ বিউটি পার্লার দেখা যায় বাড়ির সাথে হয়ে থাকে।বর্তমান মেয়েরা বিউটি পার্লার খুলে মেয়েদের রুপচর্চার চাহিদাকে ফোকাস করে ভালো মানের ইনকাম করছে।

বিউটি পার্লার চালু করতে খুব বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না। আপনি আপনার বাড়ির একটা ঘর ডেকোরেশন করে বিউটি পার্লার চালু করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার কিছু আসবাব পত্রের প্রয়োজন হবে।যেমন-চেয়ার, ম্যাকাপ টেবিল, আয়না, হেয়ার স্প্রে মেশিন, ফেশিয়াল মেশিন, হেয়ার হিটার ইত্যাদি।আপনি বিউটি পার্লার চালু করার পরে বিভিন্ন যায়গায় আপনার পার্লারের প্রচারনা করতে হবে।

যাতে করে মানুষ আপনার বিউটি পার্লার সম্পর্কে জানতে পারে। আপনি আপনার পর্লারের কাজের ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করলে আরো বেশি কাস্টমার পেতে সহজ হবে। আপনি যদি ভালো মানের সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজ পেতে পারেন। তাই মেয়েরা ঘরে বসে বিউটি পার্লারের কাজটা খুব সহজে করতে পারে।

বাগান তৈরী করে ইনকাম করা

মেয়েরা চাইলে বাড়ির আশেপাশে খোলা যায়গায় বা বাসার ছাদের উপরে বিভিন্ন ধরনের শাক, সবজি বা ফলের বাগান করে ইনকাম এর সোর্স তৈরি করতে পারে। এতে করে নিজের ফ্যামেলি পাচ্ছে নির্ভেজাল টাটকা শাক সবজি, যার দ্বারা ফ্যামেলির পুষ্টির চাহিদা পূরন হবে। এবং এই শাক সবজি বাজারে বিক্রি করে ইনকামও করা যাবে। বাড়ির ছাদে শাক সবজি চাষ করার জন্য মাটিতে পরিমান মত জৈব সার দিয়ে মাটির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে হবে। এই ভাবে বাড়ির আশেপাশে বা ছাদে শাক সবজি বা ফলের বাগান করলে বাড়ির সুন্দর্য ফুটে উঠবে।

গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে ইনকাম করা

কোন মেয়ের যদি পশুপাখির পতি ভালোবাসা বেশি থাকে তাহলে আপনার জন্য পশুপাখি লালন পালন করে ইনকাম করার অন্যতম একটি মাধ্যম। এই কাজটি করার জন্য অবশ্যই পশুপাখির প্রতি আপনার মহব্বত থাকতে হবে। এই রকম অনেক মেয়ে রয়েছে যারা পশুপাখি লালন পালন করে ঘরে বসে ইনকাম করছেন। অনেক মেয়ে এমন আছে যারা বাড়িতে গরু, ছাগল, হাস, মুরগী, কবুতর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আপনিও বাড়িতে এই ধরনের পশুপাখি বা গরু ছাগলের খামার করে ইনকামের রাস্তা তৈরি করতে পারেন।

টিফিন সার্ভিস করে ইনকাম করা

কোন মেয়ে যদি রান্নায় পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং মজার মজার খাবার তৈরি করতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য টিফিন সার্ভিস কাজটি ইনকামের জন্য হতে পারে দুর্দান্ত উপায়। কেননা শহরের এমন কিছু চাকরিজিবি মানুষ আছে যারা বাড়িতে রান্না করার সময় পায় না। দেখা যায় তারা নিয়মিত হোটেল বা রেস্টুরেন্টে থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে কিনে থাকেন।

এই সমস্ত চাকরিজিবি মানুষেরা টিফিন ব্যবসায়ীদের খুজেন। যারা তাদের বাড়িতে রান্না করে খাবার পৌছে দিবে। আপনি চাইলে টিফিন সার্ভিস ব্যবসাটি হোম ডেলিভারি সিস্টেম চালু করতে পারেন। এতে আপনার অধিক পরিমানে লাভ আসবে। আর বাড়ির কাজের পাশাপাশি এই কাজটি আপনি করতে পারবেন।

হাতের কাজ করে আনলিমিটেড ইনকাম করার উপায়

অনেক মেয়ে এমন রয়েছে যারা বিভিন্ন হাতের কাজে পারদর্শী। তারা হাতের কাজ করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারেন। হাতের কাজ অনেক প্রকার রয়েছে। যেমন- কাগজ দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনে ওয়ালমেট তৈরি করা, শাড়ি বা থ্রি পিচ এ বিভিন্ন ডিজাইন করা ইত্যাদি। হাতে বানানো বিভিন্ন ডিজাইন এর ফুল বা ওয়ালমেট গুলো তৈরি করে আপনি আনলিমিটেড ইনকাম করতে পাবেন।
হাতের-কাজ-করে-আনলিমিটেড-ইনকাম-করার-উপায়.webp
কেননা এই ধরনের জিনিসের বর্তমান অনেক চাহিদা। আর এই জিনিস গুল বানাতে খুব বেশি টাকাও খরচ হয় না। কিন্তু ভালো দামে বিক্রি করা যায়। আপনি যদি শাড়ি বা থ্রি পিচ এ ডিজাইন করতে পারেন তাহলে অনেক লাভবান হতে পারবেন। কেননা সাধারণত ৫০০ টাকার একটা থ্রি পিচ ডিজাইন করার পরে ১৫০০ টাকা দাম হয়ে যায়।

এছাড়াও কোন মেয়ের যদি সেলাই করার ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসে হাতের কাজ করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। এমনও কিছু মেয়ে রয়েছে যারা সুন্দর সুন্দর ডিজাইন এবং মজাদার পিঠা বানাতে পারে। শীতের দিনে এই সমস্ত পিঠার চাহিদা থাকে অনেক। তাই পিঠা বানিয়েও আপনি ভালো মানের ইনকাম করতে পারেন।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানতে পারলাম মেয়েরা ঘরে বসে কি কি উপায়ে ইনকাম করতে পারবে এবং সেই কাজ গুলো কিভাবে করবে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো কাজ করে মেয়েরা খুব শজে ইনকাম করতে পারবেন। আরো আলোচনা করা হয়েছে হাতের কাজ করে কিভাবে আনলিমিটেড ইনকাম করা যায়।

আমি আশা করি আজকের আর্টিকেলে মেয়েদের রোজগারের উপায় সমুহ জানতে পারে আপনাদের অনেক উপকার হয়েছে। প্রতিনিয়ত এই ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর যদি আমাদের আর্টিকেল পরে আপনাদের উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধদের কাছে শেয়ার করে দিবেন। এত সময় নিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এম ট্রপিক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url