চুলের জন্য জবা পাতার উপকারিতা

চুলের জন্য জবা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক জবা পাতা ও ফুল দিয়ে কিভাবে চুলের জত্ন নিবেন এবং জবা পাতার ব্যবহারে চুলের কি কি উপকার হয়। আজকের আর্টিকেলে আপনারা আরো জানতে পারবেন জবা ফুলের ঐষুধি গুনাগুন সম্পর্কে।
চুলের জন্য জবা পাতার উপকারিতা .webp
খুশকি মুক্ত লম্বা ঝলমলে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহার করি। অনেকে আবার পর্লারে গিয়েও বিভিন্ন ভাবে চুলের যত্ন নিয়ে থাকে। তবে আমরা চাইলে কিন্তু ঘরে বসে নিজেই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিতে পারি। আর চুলের জন্য শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক উপাদান হলো জবা গাছের ফুল ও পাতা। চলুন তাহলে জবা পাতা ও ফুলের ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

চুলের জন্য জবা পাতার উপকারিতা

চুলের জন্য জবা পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক। যার ব্যবহার প্রাচীন যুগ থেকে হয়ে আসছে। চুল থাকতে আমরা অনেকেই চুলের যত্ন নেই না। কিন্তু যখন চুল পড়া শুরু হয়। চুল পরে মাথার তালু ফাকা হয়ে যাওয়া শুরু করে তখন আমরা চুল পড়া কি ভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয় নিয়ে চিন্তায় পরে যায়। আমাদেরকে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আমরা যখন বাহিরে যায়।

তখন প্রখর রোদ ও ধুলা বালি আমাদের মাথার উপর দিয়ে যায়। আর এই রোদ আর ধুলাবালি চুলের অনেক ক্ষতি করে। তাই আমাদের নিয়মিত চুলের যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত চুলের যত্ন না নেওয়ার কারনেই কিন্তু চুলে খুশকি হয় আর চুল পড়া শুরু হয়। আর যখন চুল পড়া শুরু হয়। তখন চুল পড়া বা খুশকি দূর করার জন্য বাজারের বিভিন্ন শ্যাম্পু বা তেল ব্যবহার করে থাকি।


বাজের সব প্রডাক্ট কিন্তু আপনার চুলের জন্য উপাকার নয়। বাজারে এমনও কিছু প্রডাক্ট আছে যেগুলো ব্যবহার করার কারনে আপনার চুলের উপকারের থেকে ক্ষতির দিক বেশি থাকে। এই জন্য আমরা চাইলে নিজেই প্রাকৃতিক ভাবে চুলের যন্ত নিতে পারি। আর প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য জবা গাছের ফুল ও পাতা দুটোই অনেক বেশি উপকারী।

জবা পাতা ও ফুল চুল পড়া রোধ করে, চুলের ফলিকল মজবুত করে, এবং স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। জবা ফুলে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড। যা চুলের কেরাটিন প্রোটিন বৃদ্ধি করে। এর দ্বারা চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা ধরে রাখতে সহায়তা করে।

এক নজরে জবা ফুল ও পাতার উপকার সমুহ

জবা ফুল ও পাতার মধ্যে একাধিক পুষ্টিগুন রয়েছে যেমন- ভিটামিন সি, রিবোফ্লাভিন, ফসফরাস ফ্ল্যাভোনয়েসড, অ্যামিনো অ্যাসিড, মিউকিলেজফাইবার, এন্টি অক্সিটেন্টে ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুন উপাদান। যে পুষ্টি উপাদান গুলো চুলের গোড়াকে করে মজবুত, মসৃণ। এবং চুলের গোড়ায় জমা টক্সিন দূর করে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

২০২২ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে জবা পাতার নির্যাস চুল লম্বা করতে সাহায্য করে। এবং জবা পাতার নির্যাসে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ারোধ করার ক্ষমতা, যা চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অবদান রাখে এবং খুশকি দূর করে। এছাড়াও জবা পাতা চুল ঘন ও কালো করতে সাহায্য করে। জবা পাতা ও ফুলের উপকার সমুহ নিম্নে এক নজরে তুলে ধরা হলো-

  • চুলের গোড়া মজবুত করে।
  • চুল পড়া বন্ধ করে।
  • চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • খুশকি দূর করে।
  • অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করে।
  • স্ক্যাল্প ভালো রাখে।
  • চুলের আগা ফাটা রোধ করে।
  • চুল স্লিক ও মসৃণ করে।

জবা ফুলের তেল তৈরির নিয়ম ও ব্যবহার

প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়ার আগে অবশ্যই ব্যবহার বিধি ভালো ভাবে জানতে হবে। ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত না জানা থাকলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই অবশ্যই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কোন কিছু তৈরির পুর্বে সেই জিনিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তার পরে ব্যবহার করা উচিত। তাই আমরা জবা ফুলের তেল ব্যবহারের পুর্বে কি ভাবে তেল তৈরি করতে হয় এবং কোন সমস্যার কারনে কিভাবে তৈরি করে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে জবা পাতা ও ফুলের ব্যবহার

যাদের মাথার চুল পড়ে পাতলা হয়ে গেছে। তাদের পাতলা চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য জবা ফুল অনেক কার্যকরী। প্রথমে জবা ফুলের কিছু পাপড়ি নিয়ে ভালো ভাবে বেটে নিন অথবা ব্লেন্ডার মেশিনে ব্লেন্ড করে নিন। ব্লান্ড হয়ে যাওয়ার পরে। নারিকেল তেলের সাথে মিক্স করে নিন। এরপরে গোসলের আধা ঘন্টা পূর্বে নারিকেল তেল এবং জবা ফুলের মিশ্রণের তেলটি মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।

এবং চুলে দেওয়ার আধা ঘন্টা পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু করেন ধুয়ে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার ফলে এই মিশ্রণটি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে ম্যাজিক এর মত কাজ করে। চুলের জন্য জবা পাতার উপকারিতাও অনেক। চুলকে বৃদ্ধি করতে জবা পাতা দিয়ে আরো একটি নিয়ম রয়েছে। চুলের বৃদ্ধির জন্য ৮ থেকে ১০ টি জবা পাতা দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।

এবং ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিন।এরপরে নারিকেল তেল এক কাপ সমপরিমাণ একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে ভালোভাবে গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে জবা পাতার পেস্ট তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এবং আরো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিন। এরপরে ভালোভাবে ঢেকে রেখে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পরে ভালোভাবে মাথার তালু সহ চুলে লাগিয়ে নিন।

এবং ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে সারারাত রেখে দিন পরের দিন সকালে সেম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।সারারাত রাখলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে বেশি কার্যকর হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে দ্রুত চুল বৃদ্ধি পাবে। এবং চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে।

রুক্ষ চুলের জন্য জবা ফুলের ব্যবহার

জবা ফুল রুক্ষ চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। তবে রুক্ষ চুলকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে আসার জন্য। সর্বপ্রথ কাঠবাদামের তেলের প্রয়োজন হবে। কেননা এই উপাদানটি তৈরি করার জন্য। জবা ফুলের কিছু পাপড়ি কাঠবাদামের তেলের সাথে বোতলে করে ভরে রেখে দিন। জবা ফুলের পাপড়ি মেশানো কাঠ বাদামের তেলটি। প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা সূর্যের আলোতে রাখুন।

এইভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন সূর্যের আলোতে দেওয়ার পরে। নিয়মিত গোসলের ৩০ মিনিট পূর্বে ভালোভাবে মাথায় মেখে নিন। এবং ৩০ মিনিট পরে। সেম্পু দিয়ে ভালোভাবে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে রুক্ষ চুল অল্প কিছুদিনের মধ্যে রেশমের মতো মোলায়েম হয়ে উঠবে।

জবা পাতা ও ফুলের ব্যবহারে খুশকি দূর হয়

চুলের খুশকির সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়। চুলে খুশকি হওয়ার প্রধান কারন হলো ধুলাবালি। আমরা যখন বাহিরে যায় তখন মাথায় অনেক ধুলাবালি পড়ে। আর এই ধুলাবালি থেকে খুশকি তৈরি হয়। মাথায় খুশকি হওয়ার কারনে চুল পড়া শুরু করে। চুল পড়তে পড়তে এক সময় দেখা যায় মাথা প্রায় টাক হয়ে গেছে। অতএব চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আগে খুশকি দূর করতে হবে।
জবা পাতা ও ফুলের ব্যবহারে খুশকি দূর হয়.webp
তাছাড়া চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। আর এই খুশকি দূর করতে জবা ফুল অনেক কার্যকরী। খুশকি দূর করার জন্য জবা ফুলের পাপড়ি বেটে তিলের তেলের সাথে মিশ্রণ করে গোসলের পূর্বে মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে অল্প কিছুদিনের মধ্যে খুশকি বিদায় নিবে। খুশকি দূর করতে জবা পাতাও অনেক উপকারী।

আধা কাপ মেথি রাতে ঘুমানোর আগে পানিতে ভিজিয়ে দিন। সারারাত ভিজার পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে মেথি গুলো ব্লেন্ডার দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এরপরে কয়েকটি শুকনো জবাব পাতা মেথির সাথে মিক্স করে ব্লেন্ডার করে নিন। উক্ত মিশ্রণের সাথে বাটার মিল্ক মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

পেস্ট তৈরি হওয়ার পরে মাথার তালুতে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও মেহেদি পাতা এবং জবা পাতা একসাথে গুঁড়ো করে লেবুর রস দিয়ে মিশ্রণ করে নিন। উক্ত মিশ্রণটি চুলে লাগানোর ফলে খুশকি দূর হবে এবং চুলকে স্লিক ও ঝলমলে উজ্জ্বল করবে।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও কন্ডিশনিং চুল পেতে ব্যবহার করুন জবা পাতা ও ফুল

ঝলমলে সিলকি চুল কার না ভালো লাগে। চুলকে ঝলমলে করার জন্য মানুষ অনেক ধরনের শ্যাম্পু এবং তেল ব্যবহার করে থাকে আজকে আমরা ঘরোয়া ভাবে কিভাবে চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সিল্কি করা যায় সে বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। চুলকে কন্ডিশনিং করার জন্য প্রথমে ৮ থেকে ১০ টি জবা ফুল নিন এবং ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

জবা ফুলের সাথে চার টেবিল চামচ টক দই একসাথে মিশিয়ে বেলেন্ডার করে নিন। প্রয়োজন হলে অল্প একটু পানি ব্যবহার করুন। এরপরে পেস্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে একটি বাটিতে ঢেলে নিন।জবা ফুল এবং দইয়ের মিশ্রণের সাথে এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন। ভালোভাবে মেশানোর পরে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে আগা থেকে গোরা পর্যন্ত মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিন।

এরপরে শাওয়ার ক্যাপ অথবা পরিষ্কার কোন কাপড় দিয়ে মাথা ভালো ভাবে ঢেকে রাখুন। ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। কন্ডিশনার শ্যাম্পু ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। তোল বাতাসে শুকিয়ে নিন। কিভাবে ব্যবহারের ফলে ফুল হবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং সিল্কি। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য জবা গাছের পাতা তিন চা চামচ পরিমাণ গুঁড়ো করে নিন।

সাথে তিন চামচ পরিমাণ আমলা পাউডার মিক্স করুন। উভয় পাউডার মিক্স করে পেস্ট তৈরি করে নিন। পেস্ট তৈরি করার পরে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপরে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ঝলমলে উজ্জ্বল চুল পেতে ৮ থেকে ১০ টি জবা ফুল নিয়ে ব্লেন্ডার করুন।

চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে। ব্লেন্ডার কৃত জবা ফুলের টেস্টটি ভালোভাবে চুলে এবং মাথা তালুতে লাগিয়ে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করুন। এরপরে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মাথার চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে ফুলের গোড়াতে পুষ্টি জোগাবে। এবং চুলকে করে তুলবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।

জবা ফুল ব্যবহারে অকালে চুল পাকা বন্ধ হয়

অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া বড় ধরনের একটি সমস্যা কেননা অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে মানুষ এটি নিয়ে টিটকারি করে। তাই আমরা এই চুল পাকা বন্ধ করার জন্য অনেক ধরনের তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অকালে চুল পাক রোধ করতে জবা ফুল অত্যন্ত কার্যকরী। অল্প বয়সে চুল পাকা বন্ধ করার জন্য কয়েকটি জবা ফুল ভালোভাবে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিবেন।

অতপর ফুলের গুঁড়োর সাথে টক দই মিশিয়ে নিন। এবং তার সাথে জবা ফুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এরপরে তিনটি উপাদান ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন। মিশ্রণ হয়ে যাওয়ার পরে। উক্ত প্যাক টি চুলে ভালোভাবে মাসাজ করুন। মাসাজ করার কিছুক্ষণ পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে চুলগুলো ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে পাকা চুল কালো হতে শুরু করবে। এবং নতুন করে চুল পাকা প্রতিরোধ করবে।

জবা ফুলের ঐষুধি গুনাগুন

প্রাকৃতিকভাবে এমন কিছু গাছপালা, বনলতা রয়েছে যা মানুষের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এমন কিছু ফল বা ফুলের গাছ রয়েছে যেগুলোর দ্বারা মানুষ একাধিক রোগ থেকে বাঁচতে পারে। তেমনি একটি ফুলের নাম জবা ফুল। জবা ফুলের ঔষধি গুনাগুন অনেক। জবা ফুল আমাদের বাড়ির আশেপাশেই পাওয়া যায়। জবা ফুল স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের অনেক উপকারী। জবা ফুলের মধ্যে এমন কিছু ঔষধি গুন রয়েছে। যার দ্বারা কঠিন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।
জবা-ফুলের-ঐষুধি-গুনাগুন.webp
রক্তশূন্যতাঃ রক্তশূন্যতায় যারা ভুগতেছেন তাদের জন্য জবা ফুল অনেক উপকারী। কেননা জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আইরন। আর এই আয়রন মানবদেহের রক্তের অভাব পূরণ। তাই যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগতেছেন তারা নিয়মিত জবা ফুল কিসের রস করে খেলে রক্তশূন্যতা দূর করবে।

ওজন কমাতেঃ অতিরিক্ত ওজন মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। আর অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য জবা ফুল অত্যন্ত কার্যকরী। জবা ফুলের পাতা পানিতে ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেলে শরীরের শক্তি যোগায়। এবং এবং এতে ক্ষুধা কম লাগে। জবা ফুলের পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজনও কমায়।

কিডনির সমস্যাঃ কিডনি রোগের সমস্যা এড়াতে জবা ফুল অন্যতম ভূমিকা পালন করে। জবা ফুল নিয়ম মেনে খেতে পারলে। কিডনি এবং পিত্তথলিতে হওয়া পাথর গলে বেরিয়ে আসে।

উচ্চ রক্তচাপঃ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে জবা ফুল অত্যন্ত কার্যকর। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জবা ফুলের পাতা দিয়ে চা বানিয়ে খান।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে আমরা চুলের জন্য পাতার উপকারিতা এবং এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। এবং আমরা আরো জেনেছি জবা ফুলের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।

আমি আশা করি আজকের আর্টিকেলে জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরে আপনাদের অনেক উপকার হয়েছে। প্রায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের নতুন নতুন স্বাস্থ্য সচেতন মূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর আমাদের আর্টিকেল পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এত সময় নিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এম ট্রপিক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url