কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে চলুন জেনে নেই কোয়েল পাখির ডিম খেলে কি কি উপকার হয়। এবং কাদের জন্য কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া ক্ষতিকর। আরো জানবো গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ .webp
কোয়েল পাখির ডিম আকারে অনেক ছোট হলেও পুষ্টি গুণের দিক থেকে অনেক বেশি। তাই আকারে ছোট দেখে কেউ অবহেলা করবেন না। কেননা কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, আয়রন সহ একাধিক পুষ্টিকর উপাদান। তাহলে চলুন কোয়েল পাখির ডিম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা ও অপকারিতা 

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা অনেক যা কয়েক লাইনে বলে শেষ করা সম্ভব নয়। তারপরেও যতটা সম্ভব আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করতেছি। বর্তমানে খাদ্য উপযোগী যত ডিম রয়েছে তারমধ্যে পুষ্টিগুনে সেরা এই কোয়েল পাখির ডিম। কোয়েল পাখির ডিমের চাহিদা পূরণের জন্য এখন দেশি ও ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি কোয়েল পাখির ডিমও খামারের মধ্যে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এবং কি কিছু মানুষ কোয়েল পাখি নিজের বাড়িতেই পালা শুরু করেছে। যার কারণে কোয়েল পাখির ডিম খুব সহজেই পাওয়া যায়। যেকোনো বড় কিংবা ছোট বাজারে গ্রামে অথবা শহরে এবং কি সুপার শপ গুলোতেও কোয়েল পাখির ডিম পাওয়া যায়। ইদানিং কালে কোয়েল পাখির ডিম সকলের কাছে পছন্দের খাবার হয়ে উঠেছে। তাই এর চাহিদাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। 

সাধারণত মানুষের ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স হয়ে গেলে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কিন্তু কোয়েল পাখির ডিম যেকোনো বয়সের মানুষ খেতে পারে। কোয়েল পাখির ডিমের তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বরং কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার দ্বারা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কোয়েল পাখির ডিম দেখতে যদিও আকারে অনেক ছোট।কিন্তু এটি পুরোটাই পোস্ট করে ভরপুর।

একটি কোয়েল পাখির ডিমে মুরগির ডিমের থেকে প্রায় ১০ গুন পুষ্টি বেশি থাকে। কোয়েল পাখির ডিমের হয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আইরন, ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, কোলেস্টেরল ইত্যাদি। কোয়েল পাখির ডিম এ থাকা এই পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কোয়েল পাখির ডিমে অতিরিক্ত মাত্রায় আইরন থাকার কারণে এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। এবং কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানোর অনেক উপকার রয়েছে। ছোট বাচ্চাদের কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ালে তাদের শরীরের হাড় শক্ত হয়। দৃষ্টিশক্তি ভালো হয় ইত্যাদি। তাই আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য। তাই প্রতিদিনের খাওয়ার তালিকায় নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম দরকার।

এক নজরে কোয়েল পাখির ডিমের স্বাস্থ্য গুনাগুন সমুহ

কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করতে গেলে অনেক। বিশেষ করে কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে। এসব পুষ্টিগুণ মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি থাকে। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার দ্বারা স্বাস্থ্যের জন্য যেসব উপকার হয় তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো-
এক নজরে কোয়েল পাখির ডিমের স্বাস্থ্য গুনাগুন সমুহ (2).webp

ক্যান্সার প্রতিরোধক

কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে যে সমস্ত খনিজ উপাদান গুলি রয়েছে তার মধ্যে একটি হল সেলেনিয়াম। এই খনিজ বাদানটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কামাতে সহায়তা কর। এই সেলেনিয়ামে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা মানব দেহের কোষ ক্ষয় হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এইচআইভি আক্রান্ত রোগীদের মাঝে সেলেনিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। এইজন্য কোয়েল পাখির ডিম প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা দরকার।

ত্বক, চুল, চোখের সুরক্ষায়।

কোয়েল বুকের ডিমের মধ্যে রয়েছে রিবোফ্লাভিন। যা মানুষের শারীরিক বৃদ্ধির প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। সাধারণত ভিটামিন বি২ সহ অন্যান্য বি শ্রেণীর ভিটামিন আমাদের লিভার, ত্বক, চুল ও চোখের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। মানব দেহের রক্ত কণিকা উৎপাদনের জন্য রিবোফ্লাভিন অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লাভিন থাকায় প্রতিনিয়ত কোয়েল পাখির ডিম খেলে মানব দেহের লিভার ত্বক চুল ও চোখের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা

ভিটামিন বি১২, থাইমিন এবং ভিটামিন২ মানুষের মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। মানুষের স্মৃতিশক্তির ক্ষয়রোধ রক্ষায় ভিটামিন বি১২ অত্যন্ত উপকারী। আর কোয়েল পাখির ডিমের হয়েছে ভিটামিন বি১২ এর একটি উৎস। মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন ডিম অত্যন্ত কার্যকর। আর যদি সেই ডিমটি হয় কোয়েল পাখির ডিম তাহলে তো আরো ভালো।

হাঁপানি শিথিল করে

হাঁপানি রোগ থেকে রক্ষার জন্য কোয়েল পাখির ডিম অত্যন্ত কার্যকরী। কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে থাকা এলার্জি প্রতিরোধকারী উপাদান হাঁপানির বিরুদ্ধে কাজ করে। একাই ১৮০ জন হাঁপানি রোগে আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে গবেষণা করে দেখা গেছে যে যাদেরকে কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানো হয়েছে তাদের মধ্যে হাঁপানির তীব্রতা অনেক হারে কম।

এলার্জিজনিত রোগ প্রতিরোধ করে

বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণের কারণে অনেকের মধ্যেই এলার্জি রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কোয়েল পাখির ডিম এলার্জিজনিত সর্দি কাশির বিরুদ্ধে অনেক ভালো কাজ করে। কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে রয়েছে এলার্জি প্রতিরোধকারী উপাদান। কোয়েল পাখির কাঁচা ডিম এলার্জির মাত্রা ও লক্ষণ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

কোয়েল পাখির ডিমে থাকা কলিন নামে এক ধরনের পুষ্টি যা মানুষের মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে। বিশেষ করে মানুষের বয়স বাড়ার ব্যাপারে। এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে থাকা জিংক ও সেলেনিয়াম পুষ্টি যা মানুষের ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানুষের ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে করে। ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ থেকে জানা যায় যে কোয়েল পাখির ডিম বয়সের বৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।

কিডনি ও হার্ট কে সুস্থ রাখে

মানব দেহের অঙ্গ পতঙ্গের মধ্যে থেকে সবথেকে দামি যে জিনিস সেই জিনিস গুলি হল কিডনি এবং হার্ট। একে নিয়ে এবং হার্ডকে সুস্থ রাখতে কোয়েল পাখির ডিম অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়। এ পটাশিয়াম মানুষের হার্টের কার্যকর ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। হার্টের পাশাপাশি পাশাপাশি কিডনি মানব দেহের অত্যন্ত দামি একটি অঙ্গ। কিডনির মাধ্যমে মানব দেহের রক্তকে পরিষ্কার করে। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী। আর কিডনি সুস্থ রাখার জন্য কোয়েল পাখির ডিমে থাকা পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন কিডনির কার্যকরী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।

বর্তমান আমাদের সমাজে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নেই। প্রায় ৯৭ শতাংশ মানুষ গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত। আরে কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে যে পুষ্টি উপাদানগুলি রয়েছে। এর দ্বারা গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রনে আসে। কোয়েল পাখির ডিম পেট ব্যথা আলসার সহ পেটের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে

কোয়েল পাখির ডিম ডায়াবেটিস রোগের নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে কোয়েল পাখির ডিম মানব দেহের রক্তের গ্লুকোজ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার দ্বারা ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রণে থাকে।

রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়।

আয়রনের ঘাটতির কারণে শরীরের মধ্যে রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। আর কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। তাই রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য কোয়েল পাখির ডিম অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়াও কোয়েল পাখির ডিমের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। যা মুরগির ডিমের থেকে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। পটাশিয়াম এমন একটি খনিজ যা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাথে জড়িত। পটাশিয়াম মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলো সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। তাই রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া প্রয়োজন।

শিশুদের জন্য কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা

শিশুদের স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টি গুন খাওয়া খাওয়ানো জরুরি। কেননা কোন শিশুকে ছোট থেকে পুষ্টিগুণ খাবার না খাওয়ালে পরবর্তীতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং কি শিশুদের পুষ্টিকর খাবার অভাবে অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এবং শরীর স্বাভাবিকভাবে দুর্বল হয়ে যায়। এবং বাচ্চার মেধা বিকাশ ঘটানোর জন্য পুষ্টিকর খাবার অপরিহার্য।

আর বাচ্চার এই পুষ্টিগণ যোগানোর জন্য অন্যতম খাবার হিসেবে হতে পারে কোয়েল পাখির ডিম। কোয়েল পাখির ডিমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে শিশুদের মেধা বিকাশ ঘটবে। এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার কারণে বাচ্চাদের পেশী ও হার মজবুত হয়।

কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম বাচ্চাদের হার ও পেশি মজবুত করতে সাহায্য করে। এবং শিশুদের শরীরের এনার্জি বাড়িয়ে তোলে। কোয়েল পাখির ডিম শিশুদের খাওয়ালে তাদের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হবে। কোয়েল পাখির ডিমে থাকা ভিটামিন এ ও ওমেগা থ্রি ফ্যাট শিশুদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

শিশুদের স্বাভাবিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। এজন্যই ছোট বাচ্চারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা অতিব জরুরী। আর রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করার জন্য অন্যতম খাদ্য হলো কোয়েল পাখির ডিম। তাই শিশুদের নিয়মিত দুই থেকে তিনটি করে কোয়েল পাখির সিদ্ধ ডিম খাওয়ানো জরুরী।

গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ব অবস্থায় মায়েদের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই গর্ব অবস্থায় মায়েদেরকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গর্ব অবস্থায় ভিটামিন যুক্ত খাবার শুধু মায়েদের উপকার করে না বরঞ্চ গর্ভে থাকা সন্তানেরও প্রচুর ভিটামিনের চাহিদা থাকে। অতএব গর্ভবতী মাকে যত বেশি ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ানো যায় বাচ্চাও তত বেশি পুষ্টিকর খাদ্য পেয়ে থাকে।এবং বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে সুস্থ স্বাবলম্বী হয়ে থাকে।

আর যদি গর্ভাবস্থায় মায়েদেরকে পুষ্টিকর খাওয়া দেওয়া না হয়। তাহলে বাচ্চাও পুষ্টি হীনতায় ভোগে এবং বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই বাচ্চা এবং মাকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই গর্ভবতী মায়েদেরকে পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ খাবার খাওয়াতে হবে।আরে পুষ্টিগুণ খাবারের মধ্যে কোয়েল পাখির ডিম হতে পারে, অন্যতম একটি খাবার। কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন বি১ মুরগির ডিমের থেকে প্রায় ছয়গুণ বেশি থাকে।

গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রচুর পরিমাণে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হয়। আর কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে আয়রন এবং ফরফরাস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ানোর ফলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরের প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এসিড, অ্যামাইনো, সহ বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান কোয়েল পাখি ডিমের মধ্যে রয়েছে। তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে তিন থেকে চারটি ডিম খাওয়ানো উচিত।

কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম

কোয়েল পাখির ডিম আকারে অনেক ছোট হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। কোয়েল পাখির ডিম ছোট বলে আমরা অনেকেই অনেক সময় দেখা যায়। বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করি। মনে মনে ভাবি যে এই ছোট্ট ডিমে আর কতটুকু পুষ্টি থাকবে। কোয়েল পাখির ডিম যদিও দেখতে ছোট। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ মুরগির ডিমের থেকেও অনেক গুনে বেশি। তাই অতিরিক্ত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যাবেনা।
কোয়েল-পাখির-ডিম-খাওয়ার-নিয়ম.webp
কেননা অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না। স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন তিন থেকে চারটি পর্যন্ত কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া যায়। আর ছোট বাচ্চাদের জন্য সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটি কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া উত্তম। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা থাকে। পোস করে খাওয়া যায়। তবে সব থেকে উত্তম হলো কোয়েল পাখির ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া।

শেষ কথা

আজকে আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানতে পারলাম কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আরো জেনেছি গর্ভাবস্থায় কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। কোয়েল পাখির ডিম খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। তারা অতিরিক্ত কোয়েল পাখির ডিম খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আমি আশা করি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনাদের উপকারে হয়েছে। তাই প্রতিনিয়ত এই ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আর আমাদের আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়ে থাকলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষন সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এম ট্রপিক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url