গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? গর্ভাবস্থায় লেবু
খেলে কি কোন ক্ষতি আছে? চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় লেবু
খাওয়ার উপকাররিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আরো জানবো গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের
সতর্কতা সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় সাধারণ খাবারকেও সন্দেহের চোখে দেখা হয়। কেননা গর্ভাবস্থায় সবাই
সচেতন হিসেবে থাকতে চাই। যেন কোন ধরনের বাচ্চা এবং মায়ের ক্ষতি না হয়ে থাকে।
তেমনি ভাবে লেবু খাওয়া সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মতামত প্রকাশ করে থাকে।
তাহলে চলুন জেনে আসি গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে কি কি উপকার হয়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় অবশ্যই পুষ্টিকর খাওয়া মায়েদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কেননা
গর্ভাবস্থায় যত পুষ্টিকর খাবার খাবে সন্তান তত বেশি সুস্থ এবং স্বাবলম্বী হয়ে
উঠবে। এই জন্য গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত
জরুরি। গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিগুণ খাবারের মধ্য থেকে লেবু হতে পারে অন্যতম একটি
খাবার। লেবুর রস আমাদের পেটের সমস্যার পাশাপাশি দ্রুত মুখের স্বাদও ফিরিয়ে নিয়ে
আসে।
সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের খাওয়ার রুচি কম থাকে। তাই লেবু খাওয়ার মাধ্যমে মুখের
রুচি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এবং গর্ভবতী মায়েদের বমি বমি ভাব লেবুর রস খাওয়ার
কারণে দ্রুত দূর হয়ে যায়। এছাড়াও লেবুর মধ্যে রয়েছে। ক্যালসিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, নিয়াসিন, পটাসিয়াম, বিটা কেরোটিন, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন
সি সহ রাইবোফ্লাবিনের মত উচ্চ খনিজ এবং ভিটামিন উপাদান সমূহ।
এ সমস্ত পুষ্টিগুণ উপাদানের দিক বিবেচনা করে। প্রতিটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য
দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় লেবু যুক্ত করা উচিত। লেবুর মধ্যে থাকা লিমনয়েড এক
ধরনের পদার্থ। যে পদার্থ ক্যান্সারের মত কঠিন রোগ ধ্বংস করতে অত্যন্ত কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও লেবুর রস শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ছেড়ে ওজন কমাতে
সহায়তা করে। লেবুর মধ্যে থাকা উপাদান গুলো ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা
করে।
লেবু পেটের খাওয়া হজম করতে সহায়তা করে। একটি লেবুতে প্রায় ২ গ্রাম ভিটামিন সি
থাকে। আর গর্ব অবস্থায় ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী একটি পুষ্টিগুণ। কেননা
গর্ভবতী মায়েদের ইমিউনো কম্প্রোমাইজ এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই
গর্ভবতী অবস্থায় ভিটামিন সি মা এবং অনাগত সন্তানের ওজন বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত
ভূমিকা পালন করে। এবং ভিটামিন সি আইরন শোষণ ত্বরান্বিত করে থাকে।
তবে গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি ঘাটতি পূরণ করার জন্য। শুধুমাত্র লেবুর উপরে নির্ভর
করলে চলবে না। পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। আর
একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত লেবু খাওয়া যাবেনা।
পরিমাণ মতো খেতে হবে। প্রয়োজনের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে
খাওয়া উত্তম।
গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে যে সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
গর্ভাবস্থায় অবশ্যই প্রতিটি মায়ের সচেতন থাকা জরুরি। কেননা মা যত সুস্থ থাকবে
সন্তান তত সুস্থ স্বাবলম্বী হবে। মা অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তানও অসুস্থ হয়ে যাবে।
এজন্য গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। এবং যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে
অবশ্যই বিবেচনা করে খেতে হবে। এমন কোন খাদ্য খাওয়া যাবেনা যা গর্ভবতী মায়ের এবং
সন্তানের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলি খাওয়ার
দ্বারা।
গর্ভবতী মা এবং সন্তান উভয়ে এবং স্বাবলম্বী থাকে। এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়। তেমনি একটি খাদ্য হলো লেবু। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
যা গর্ভবতী মা এবং সন্তানের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই গর্ভবতী মায়েদের পরিমাণ মত
লেবু খাওয়ার কারণে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় লেবু খেলে
কি কি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ-
- বমি বমি ভাব দূর করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে স্বস্তি আনে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।
- হার এবং পেশী মজবুত করে
- পা ফোলা দূর করতে সাহায্য করে।
- ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- প্রসবকালীন বেদনা কমাতে সাহায্য করে।
বমি বমি ভাবঃ গর্ভাবস্থায় মহিলাদের সাধারণত বমি বমি ভাব একটু বেশিই হয়।
লেবু বমি ভাব বাব বমি কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গর্ব
অবস্থায় বমি ভাব উপশম করতে লেবু বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ২০১৪ সালে একটি
গবেষণায় ১০০ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে লেবুর মধ্যে
থাকা ইনহিলেশন থেরাপি হালকা বমি এবং বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপঃ লেবুর মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। বলা যেতে পারে
লেবু ভিটামিনের একটি মহা উৎস। যা গর্ভবতী মায়ের রক্ত কোষ গুলিকে শক্তিশালী করে
তুলে। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। লেবুর রস পান করার দ্বারা
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যঃ গর্ভাবস্থায় মহিলারা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে
থাকেন। তবে নিয়মিত লেবুর রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস
পানির সাথে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়ার পাশাপাশি
লিভার ও ভালো থাকে। কেননা লেবুর রস যুক্ত পানি লিভারের দূষিত পদার্থ গুলো দূর
করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি এবং বিশেষ কিছু ধরনের
হালকা ঠান্ডা জনিত অসুস্থতায়। লেবুর রস মিশ্রিত পানি পান করলে এ সমস্ত রোগ থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়। কেনা লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। যার কারণে ভিটামিন সি
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া
ভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
বদহজমঃ গর্ব অবস্থায় বদহজম একটা স্বাভাবিক বিষয়। আর এ বিষয় নিয়ে টেনশন
এরও কোন কিছু নেই। কেননা নিয়মিত পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি
বৃদ্ধি করে। এবং পাশাপাশি পেটের যে কোন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
হাড় এবং পেশীঃ লেবুর মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম গর্ভস্থ
শিশুর হাড় এবং পেশীকে মজবুত করে তোলে। এছাড়া ও লেবুর রস অনাগত শিশুর মধ্যে
বিভিন্ন ধরনের খনিজ সরবরাহ করে থাকে। লেবুর মধ্যে থাকা আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান হলো পটাশিয়াম। পটাশিয়াম গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।
পা ফোলাঃ গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে অনেকের দেখা যায় পা ফোলে যায়। এ ধরনের
সমস্যা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যা দূর করতে হালকা গরম
পানির সাথে লেবুর রস মিশ্রণ করে পান করলে পা ফোলা এবং যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য
করে।
প্রসবকালীন বেদনাঃ প্রসবকালীন বেদনা বেশ যন্ত্রণা যুক্ত হয়ে থাকে। তবে
লেবুর রসের সাথে মধু মিশ্রণ করে খেলে প্রসবকালীন বেদনা কমাতে সাহায্য করে। তাই এই
সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনি নিয়মিত মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে
খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় খাবার জন্য কিভাবে লেবুর রস তৈরি করে খাবেন।
গর্ব অবস্থায় লেবুর রস পান করা শরীরের জন্য অনেক উপকার এবং শরীরকে হতে যে করে
তোলে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে গর্ভবতী হয়ে থাকলে লেবুর রস অনেক উপকারে আসে। তবে
একটা কথা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গর্ব অবস্থায় কখনোই বাইরে থেকে অতিরিক্ত চিনি
মিশ্রিত রেডিমেট লেবুর রস খাওয়া যাবে না। অবস্থায় অবশ্যই সব সময় আপনাকে তাজা
লেবুর রস নিমরিয়ে খেতে হবে। কিভাবে টাটকা লেবুর রস খাবেন নিয়মগুলো নিম্নে তুলে
ধরা হলোঃ
প্রথমঃ
- একটা লেবু নিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে নিবেন। এরপরে লেবুটাকে দুই টুকরো করে একটুকরো কোন বাটি বা লগে করে ভালোভাবে রস চেপে নিন।
- এরপরে সেই নিংড়ানো লেবুর রস এক গ্লাস পানির সাথে ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন।
- এরপরে লেবুর রস মিশ্রিত পানিতে চিনির পরিবর্তে মধু অথবা চিনি গুড়া পাতা মিশ্রণ করে হালকা মিষ্টতা নিয়ে আসতে পারেন। এরপরে সেটি পান করুন।
দ্বিতীয়ঃ
- আদা এবং লেবু দিয়ে চা বানিয়ে খেলে গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে। আদা এবং লেবু দিয়ে চা গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য অত্যন্ত উপকারী একটু পানীয় হতে পারে।
- প্রথমে এক গ্লাস পানি ভালোভাবে গরম করে ফুটিয়ে নিন।
- এরপরে ছোট একটি আদার টুকরো নিয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন।
- একটু লেবু নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে দুই টুকরো লেবু এবং আদা ফুটন্ত পানিতে দিয়ে দিন।
- এরপরে ৫ থেকে ১০ মিনিট ভালোভাবে ঢেকে রেখে দিন ব্যাস আপনার আদা এবং লেবু দিয়ে চা তৈরি হয়ে গেল এবার আপনি চায়ের চুমুক দিন।
গর্ভাবস্থায় লেবুর রস সেবন করার সময় সাবধানতা
গর্ভাবস্থায় লেবুর রস পান করা অত্যন্ত উপকারী তবে যদি সেটি সীমিত পরিসরে হয়ে
থাকে। অতিরিক্ত পরিসরে লেবুর রস খেলে গর্ভাবস্থায় শরীরের উপরে ভিন্ন প্রভাব
ফেলতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাওয়ার সময় অবশ্যই অল্প পরিসরে করে খেতে
হবে। তাই গর্ভাবস্থায় লেবুর রস খাওয়ার কিছু সাবধানতা তুলে ধরা হলো যা অবশ্যই
একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অত্যন্ত জরুরী।
লেবুতে থাকা এসিড আপনার দাঁতের এনামেল এর উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এবং দাঁতের যে
কোন সমস্যার প্রতিরোধ করার জন্য লেবুর রস সেবন করার পরে অবশ্যই ভালোভাবে মুখ খুলি
করে নিবেন। আপনি যদি গর্ব অবস্থায় এই লেবুর রস এবং করা শুরু করতে চান তাহলে
অবশ্যই একেবারেই বেশি পরিসরে খাওয়া শুরু করবেন না। আগে অল্প পরিসরে খেয়ে
পরীক্ষা করে নিবেন।
যে লেবুর রস খাওয়ার পরেই আপনার গ্যাসের কোন সমস্যা বা বুক জ্বালাপোড়া হচ্ছে
কিনা। যদি বুক জ্বালাপোড়া করে থাকে তাহলে লেবু খাওয়া আপনার জন্য নিরাপদ নয়।
একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য একটি গোটা লেবু কখনই খাওয়া উচিত নয়। কেননা একটি
ঘোটালেবুর মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণের রস থাকে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি লেবুকে
কয়েক টুকরো করে অল্প পরিসরে উত্তম।
অবশ্যই টাটকা লেবুর রস সেবন করবেন। এবং রেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন
শুধুমাত্র লেবুর রস খেলে এসিডের সমস্যা হতে পারে। অবস্থা লেবুর রস খাওয়া উত্তম
পদ্ধতি হলো পানি হালকা করে গরম করে নিয়ে এরপরে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে
খাওয়ার সব থেকেই উত্তম।
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার অপকারিতা।
লেবুর রস খাওয়া যদিও যেকোনো গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী। তবে এর কিছু পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাইলেবুর রস খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাইনি বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া শুরু করা উত্তম। কেননা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী
মহিলাদের গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত হারিয়ে বেড়ে যায়। বুক জ্বালা পোড়া করার
সম্ভাবনা ও রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে এই সমস্যাগুলি বেশি দেখা
যায়।
লেবুর মধ্যে যেহেতু সাইট্রিক এসিড রয়েছে। তাই ঘর অবস্থায় লেবু খাওয়ার কারণে এই
অ্যসিড বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই এই সময় গ্যাসের সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিলে লেবু
খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম। গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলাদের দাঁত এবং
ঘাটতি দেখা দেয়। লেবুর মধ্যে থাকা উচ্চমাত্রায় হাইট্রিক এসিড এই ধরনের
সমস্যাগুলোকে আরও বেশি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
যার কারনে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং দাঁতের মধ্যে অন্যান্য আরও
সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁতের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত লেবুর
রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গর্ভাবস্থায় শীতের সময় লেবুর রস খাওয়ার কারণে
ঠান্ডা লেগে সর্দি কাশি হতে পারে। আর গর্ভবতী মায়ের ঠান্ডা লাগলে গর্ভস্থ
সন্তানের ও ঠান্ডা লেগে যায়।
যার কারণে অনেক সময় দেখা যায় সন্তান জন্মের পরপরই নিমুনিয়া রোগী
আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই শীতের সময় গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকা
উত্তম। যদিও খেতে হয় তাহলে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের সর্তকতা
গর্ভাবস্থায় শুরুর দিকে গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ ফোন দেখা দেয়। যেমন- বমি বমি
ভাব, মাথা ঘোরা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, শরীর খারাপ লাগা, ক্লান্তিবোধ হওয়া,
স্তনের পরিবর্তন হওয়া, বুক জ্বালাপোড়া করা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো যদিও গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এই
সময়ে গর্ব অবস্থায় ঝুকি পূর্ণ কিছু জিনিস রয়েছে।
এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে গর্ভপাত হওয়ার ৭৫ শতাংশ গর্ভপাত প্রথম তিন মাসেই
হয়ে থাকে। তবে এই গর্ভপাত হওয়ার বিভিন্ন কারণ হতে পারে। যেমন- বাচ্চার গঠনগত
ত্রুটি, মায়ের ডায়াবেটি, হরমোনের তারতম্য, ইনফেকশন ইত্যাদ। বোন গঠনের মূল সময়
হলো গর্ভের প্রথম তিন মাস। আর এই সময়ে গর্ভপাত হয়ে থাকে। তাই এই সময় অনেক
সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
যেমন ধুমপান থেকে বিরত থাকা, কোন ধরনের ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকা, বাড়ি কোন
কাজ করা থেকে বিরত থাকা, হাঁটাচলা কম করা, বিশেষ করে কিছু খাদ্য রয়েছে সেগুলি
থেকে বিরত থাকা। যেমন- আনারস, পেঁপে, কামরাঙ্গা এবং কম সিদ্ধ করা খাবার খাওয়া
থেকে বিরত থাকা। এই তিন মাস বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়াও।
লেখকের শেষ কথা
আজকে আর্টিকেলে আমরা জানতে পারলাম গর্ভাবস্তায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে জেনেছি অবস্থায় প্রথম তিন মাসের সর্তকতা সম্পর্কে। তাই গর্ভাবস্থায়
লেবু খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে খাবেন। কেননা
গর্ভাবস্থায় খাওয়ার ত্রুটির কারণে অনেক সময় সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
আজকের আর্টিকেল পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট
করুন। কেননা আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পোস্ট করে থাকি।
আমাদের আর্টিকেল পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ সময় নিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এস এম ট্রপিক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url