ভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন

ভেন্না গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে চলুন আজকে আর্টিকেল থেকে জেনে নেই ভেন্না গাছের উপকারিতা এবং ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন ভেন্না গাছ চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে।
ভেন্না-গাছের-উপকারিতা-ও-ঔষধি-গুনাগুন.webp
বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে ভেন্না গাছের নামটি অপরিচিত হতে পারে। তবে প্রাচীনকালে ভেন্না গাছের পাতা এবং তেলের প্রচুর ব্যবহার হয়ে আসছে। কেননা ভেন্না গাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুনাগুন। চলুন আজকে আর্টিকেল থেকে ভেন্না গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন

ভেন্না গাছ সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

প্রাচীনকালের মানুষ শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ভেন্না গাছের পাতা, ফল এবং ভেন্নার তেল ব্যবহার করতেন। শুধু রোগ নিরাময়ের জন্যই নয় বরং ভেন্নার তেল ছিল ভোজ্য তেলের মধ্যে অন্যতম একটি নাম। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে এটি এখন অপরিচিত এবং অবহেলিত হয়ে গেছে। বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষই ভেন্না গাছের নাম শুনলে মনে করে এটা আবার কোন গাছ।

অথচ এক সময়ে ভেন্নার তেল ছাড়া বাড়িতে কোন মজাদার খাবার রান্নাই হত না। তবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ভেন্না গাছের এখনো কিছু সংখ্যক মানুষ ভেন্না গাছ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে। কোন কোন জায়গায় ভেন্না গাছ ভেরেন্ডার নামেও পরিচিত। প্রায় বিলুপ্তের পথে এই ভেন্না গাছ এখনো উত্তরবঙ্গের কিছু কিছু গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়। ভেন্না গাছ ছোট থেকে অনেকটা পেপে গাছের মত হয়।

ছোটবেলায় কোন শাখা প্রশাখা থাকে না। তবে বড় হলে হালকা শাখা-প্রশাখা বের হয়। ভেন্না গাছের পাতা গুলি দেখতে অনেকটা হাতের তালুর মত হয়। এবং হাতের পাঁচটা আঙুলের মত চতুর্পাশে থাকে। ভেন্না গাছ লম্বাই প্রায় ১০ থেকে ১৫ ফুট হয়ে থাকে। ভেন্না গাছ ময়লা আবর্জনা জায়গায় বেশি হয়ে থাকে। বর্ষাকালে ভেন্না গাছের চারা গজায়। এবং হেমন্ত ও শীতকালে ভেন্না গাছের ফুল ও ফল হয়।

ভেন্না গাছে চারদিকে গোলাকার হয়ে থোকায় থোকায় হলদে রঙের ফুল হয়। এবং পরবর্তীতে ফল হয়। ফলের উপরে কাকরোলের মত চিকন এবং নরম কাঁটা যুক্ত হয়। এই ফল থেকে তেল তৈরি হয়। যে তেলের মধ্যে হাজারো ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। এছাড়াও ভেন্না গাছের পাতা দিয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি হয়।

ভেন্না গাছের উপকারিতা

ভেন্না গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে শেষ করা সম্ভব না কেননা হাজারো গুণে গুণান্বিত ভেন্না গাছ। এজন্য তো পল্লী কবি জসীমউদ্দীন তার লেখা বিখ্যাত আসমানী কবিতায় ভেন্না গাছের কথা ঠিক এইভাবে তুলে ধরেছেন। আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিম উদ্দিনের ছোট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।

কবি তার কবিতায় ধন্যবাদ আর কথা তুলে ধরার কারণ হলো ধন্যবাদ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগ। ঢেন্না গাছের উপকারিতা বলতে গেলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষের অসুখ-বিসুখে ব্যবহার করা হতো ভেন্না গাছের পাতা ও ফল। ভেন্না গাছের পাতার দ্বারা বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা যায। যেমন- শরীর কোন জায়গা কেটে গেলে ভেন্না গাছের পাতা রস করে লাগিয়ে দিলে দ্রুত কাটা স্থান জোড়া লাগে যায়।

চুল পড়া কমিয়ে দেয়, শরীরে বিভিন্ন ধরনের বাত ব্যথা দূর করে, শরীরের যে কোন কালো দাগ দূর করতেও ভেন্না তেলের অবকাশ নেই। এছাড়াও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যায় ভেন্না গাছের অত্যন্ত কার্যকরী উপকার রয়েছে। ভেন্না গাছের ফল থেকে তৈরি তেল বিভিন্ন রোগের জন্য ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এছাড়াও ভেন্না গাছের উপকারিতা রয়েছে অনেক গুলো। বিভিন্ন বিশেষ গোপনের মধ্যে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ওষুধ তৈরি করা হয় ঘেন্না গাছের উপাদান দিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেই ভেন্না গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।

ভেন্না গাছের ঔষধি গুনাগুন সমূহ

ইউনানী বিশেষজ্ঞগন গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে বলেন। মানব দেহের বিভিন্ন রোগে ভেন্না গাছের পাতা ও ফল থেকে তৈরি তেল অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ভেন্না গাছে রয়েছে হাজারো রোগের মহা ঔষধ। বর্তমান আধুনিকতার ছোঁয়া মানুষ ভেষজ উদ্ভিদকে অবহেলার চোখে দেখে। কেননা বর্তমান মানুষ আধুনিক চিকিৎসায় বিশ্বাসী। কিন্তু প্রাচীনকালে কোন আধুনিক চিকিৎসা ছিল না।

সমস্ত চিকিৎসা হতো ভেষজ উদ্ভিদ থেকে। বিভিন্ন কবিরাজ বিভিন্ন গাছ গাছরা থেকে নানা ধরনের ঔষধ তৈরি করে বিক্রি করতেন। আর মানুষের যেকোনো রোগের জন্য ওই সমস্ত গাছ গাছরা থেকে তৈরিকৃত ঔষধ অনেক কার্যকর হতো। আগেকার মানুষের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মূল চিকিৎসায়ী ছিল বিভিন্ন ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ দ্বারা। চলুন তাহলে ভেন্না গাছে থাকা ঔষধি গুনাগুন গুলো এক নজরে দেখে নিন।

  • চোখ উঠা রোগ ভালো করে।
  • পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
  • রাতকানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • মহিলাদের রক্তচাপের সমস্যা দূর করে।
  • খোস চুলকানি নির্মূল করে তোলে।
  • প্রস্রাব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • বিষফোঁড়া ঘা দুর্গতে সহায়তা করে।
  • সায়োটিক বাতের সমস্যা দূর করে।
  • শরীরের পোড়া যায়গার জ্বালাপোড়া দূর করে।
  • মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করে।
  • মাথা ভার ও যন্ত্রণা দূর করতে সহায়তা করে।
  • খুব কঠিন জ্বর থেকে মুক্তি দেয়।
  • কানের ব্যথা দূর করে তুলে।
  • আমাশয় দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • পেটের কৃমি দূর করতে সহায়তা করে।
  • কাটা স্থান জোড়া লাগাতে সহায়তা করে।
  • শিশুদের পেট কামড়ানি দূর করতে সাহায্য করে।
  • কাশির সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
  • ত্বকের কালো দাগ দূর করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ঠোট এবং পা ফাটা রোধ করে।
  • চোখের পানি পড়া দূর করে।
  • শরীরের আচুল দূর করতে সহায়তা করে।

ভেন্না গাছের পাতার ব্যবহারবিধি

ভেন্না গাছের পাতা দিয়ে বিভিন্ন রোগের ঔষধ তৈরি করা হয়। যেহেতু এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবহারবিধি এবং খাওয়ার নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে। সঠিকভাবে ব্যবহার বিধি না জেনে যেকোনো ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করা ঠিক নয়। কেননা পরিমাণ এবং খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা না থাকার কারণে।
ভেন্না-গাছের-পাতার-ব্যবহারবিধি.webp
উপকারের থেকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কর গাছ গাছরা থেকে উপকার পেতে হলে সঠিক নিয়ম জেনে নিতে হবে। কোন রোগে কিভাবে ভেন্না গাছের পাতা ব্যবহার করব তা নিম্নে বিস্তারিত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ-

চোখ উঠাঃ আমাদের অনেক সময় চোখ ওঠা রোগ হয়ে থাকে। মূলত এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই চোখ ওঠার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভিন্ন পাতার রস হালকা গরম করে নিন। এরপরে ঠান্ডা হয়ে গেলে ওই রস এক ফোটা করে চোখে দিলে চোখ উঠা দূর হয়ে যায়।

রাতকানা রোগঃ রাতকানা রোগ বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে। এ রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভেন্না গাছ অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ১০ থেকে ১২ গ্রাম সব পরিমাণ ভেন্না গাছের পাতা ঘি দিয়ে ভেজে কোন শাকের সাথে ভাজি করে খেলে রাতকানা রোগ দূর হয়ে যায়।

কাশির সমস্যাঃ দীর্ঘদিন থেকে কাশি যাচ্ছে না। কোন ওষুধ কাজ করতেছে না তাহলে ভেন্না গাছের পাতা পুড়িয়ে ছাইগুলো মিহি করে নিয়ে। পুরনো গুড়ের সাথে মিক্স করে খেয়ে নিন দ্রুত কাশির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

মাথা ভার ও যন্ত্রণাঃ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের মাথা কেমন যেন ভার হয়ে থাকে এবং অসহনীয় যন্ত্রণা করে। এ ধরনের সমস্যার জন্য ৮ থেকে ১০ গ্রাম ভেন্না গাছের কচি পাতা পানিতে সিদ্ধ করে। কথাগুলি ফেলে দিন। এরপরে ভেন্না গাছের পাতা সিদ্ধ করা পানি খেলে মাথাব্যথা দূর হয়ে যায়।

রক্তস্রাবঃ মহিলাদের রক্তচাপের সমস্যার কারণে তলপেটে ব্যথা হয়। এই ব্যথা দূর করার জন্য ভেন্না গাছের পাতা গরম করে তলপেটে শেক দিন। এভাবে নিয়মিত তিন থেকে চার দিন ব্যবহার পেট ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

খোস চুলকানিঃ শরীর চুলকানি অত্যন্ত অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। এই সমস্যা দূর করার জন্য ভেন্না গাছের ছাল বেটে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে শরীরে লাগালে চুলকানি দূর হয়ে যায়। এই ভাবে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুলকানি নেবে চির বিদায়।

প্রসাবের স্বল্পতাঃ অনেকের প্রসাবের স্বল্পতা দেখা যায় প্রসাব বৃদ্ধির জন্য আকাশের কাঁচা ছাল ১০ থেকে ১২ গ্রাম তিন কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ সম পরিমাণ পানি হয়ে গেলে নামিয়ে পানি ছেকে নিন। এই শুদ্ধ করা পানি প্রতিদিন সকালের অথবা রাতে একবার করে খেলে প্রসাবের বৃদ্ধি পাবে।

ভেন্না গাছের ফল ও তেলের ব্যবহারবিধি

বিষ ফোঁড়াঃ অনেক সময় আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বিষফোঁড়া উঠে। এই বিষ করার ব্যথার যন্ত্রণা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। আর এই বিষ ফোড়ার যন্ত্রণা দায়ক ব্যথা দূর করতে ভেন্না গাছের ফলের শ্বাস বেটে হালকা গরম করে বিষফোঁড়ার চতুর্পাশে লাগিয়ে দিলে বিষফোঁড়া ফেটে বের হয়ে যায়। এবং ব্যাথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

বাতের ব্যথাঃ বর্তমান সময়ের মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাতের ব্যথা দেখা দেয়। আরে বাতের ব্যথা দূর করার জন্য ভেন্না গাছের ফল অত্যন্ত কার্যকর। ৬ থেকে ৮টি ভেন্না গাছের ফল বেটে দুধ দিয়ে পায়েস বানিয়ে খেলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শরীরের সাদা দাগঃ আমাদের মধ্যে শরীরের মধ্যে অনেক সময় সাদা সাদা দাগ দেখা যায়। সে দাগ থাকলে কেমন যেন বিশ্রী লাগে। তাইয়ে দাগ দূর করার জন্য ভেন্না গাছের তেল একদিন পরপর শরীরের সাদা দাগ যত স্থানে লাগিয়ে দিলে শরিরের সাদা দাগ দূর হয়ে যায়।

কাটা স্থানঃ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে শরীরের কোন অংশ কেটে যায়। এই কাঁটা স্থান দ্রুত জোড়া লাগানোর জন্য ভেন্না গাছের তেল হলুদের সঙ্গে মিশিয়ে কাটা জায়গায় লাগিয়ে ভালোভাবে বেঁধে দিলে দ্রুত রক্ত পড়া বন্ধ করে এবং ব্যথা দূর করে। এভাবে ব্যবহারে কাটা স্থান দ্রুত জোড়া লাগতেও সহায়তা করে।

পোড়া জায়গাঃ শরীরের কোন জায়গা পুড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে যন্ত্রণা হয় এবং ফোসা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ ধরনের সমস্যা দূর করতে ঘেন্না গাছের তেল তুলা দিয়ে হালকা করে পোড়া স্থানে লাগিয়ে দিলে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে যন্ত্রণা দূর হয়ে যাবে।

শিশুদের পেট কামড়ানিঃ শিশুরা তাদের কোন সমস্যার কথা বলতে পারেনা। অনেক সময় দেখা যায় তাদের পেটে হালকা ব্যথা হয় পেট কামরানি শুরু করে। শিশুদের এই সমস্ত সমস্যা দূর করতে ঘেন্না গাছের তেল আর পানি মিক্স করে নাভির চারদিকে আস্তে আস্তে মালিশ করুন। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

ভেন্না গাছ চাষ করার পদ্ধতিত

হাজারো ঔষধি গুণে গুণান্বিত ভেন্না গাছ তাই বিলুপ্তির দিকে। বাংলাদেশ ভেন্না গাছের চাষাবাদ তেমনভাবে দেখা যায় না। তবে এটি চাষাবাদ করতে পারলে সয়াবিন তেলের ক্ষতি থেকে মুক্তি পেতে ভেন্না গাছে তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ভেন্না গাছ চাষাবাদ করা অত্যন্ত সহজ। বাংলাদেশ তেমন কোনো অনুমোদিত জাত নেই। তবে বাংলাদেশে দুই ধরনের ভেন্না গাছ দেখা যায় লাল এবং সবুজ।
ভেন্না-গাছ-চাষ-করার-পদ্ধতিত.webp
তবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রায় ৮ টি জাত রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং আবহাওয়া ভেন্না গাছ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ভেন্না গাছ যেকোনো ধরনের উর্বর মাটিতে চাষাবাদ করা যায়। তবে ভেন্না গাছ চাষাবাদ করার জন্য সব থেকে উপযুক্ত মাটি হল বেলে দোআঁশ মাটি। ভেন্না গাছ বর্ষার আগে আগে রোপন করার সময়। তবে আপনি চাইলে বছরের যে কোন সময় ভেন্না গাছ রোপন করতে পারবেন।

রোপনের জন্য প্রথমে মাটি আগাছা পরিষ্কার করে ৩ থেকে ৪টি চাষ দিতে হবে। রোপনের সময় একটি চারা থেকে আরেকটি চারার দূরত্ব কমপক্ষে ৪০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে এবং একটি শাড়ি থেকে আরেকটি শাড়ির দূরত্ব ১০০ থেকে ১২০ মিটার রাখতে হবে। ভেন্না গাছ চাষাবাদ করতে খুব বেশি সারের প্রয়োজন হয় না। ঢ্যামনা গাছ রোপনের ১৪৫ থেকে ১৬৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।

লেখকের শেষ কথা

ভেন্না গাছের উপকারিতা ও ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে আজকে আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হয়েছে ভেন্না গাছ চাষ করার পদ্ধতি সম্পর্কে। ভেন্না গাছের মাধ্যমে যেগুলো রোগের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই সমস্ত রোগে উপকৃত হওয়ার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

আজকের আর্টিকেল পরে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। কেননা আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের স্বাস্থ্য সচেতন মূলক আর্টিকেল লিখে থাকি। আমাদের আর্টিকেল পরে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এস এম ট্রপিক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url